কাল না কি বিশ্ব চড়ুই দিবস ছিল। অনেক রাতে জানলাম। জানলাম যাঁর থেকে তাঁকে অন্য অনেকের মতোই প্রবাস জীবনের গানবুভুক্ষু অবস্থায় ইউটিউবের জন্যে চিনেছিলাম, পরে ফেসবুকে খুঁজে পেয়েছি... চঞ্চল চক্রবর্তী।
মোবাইল টাওয়ারের উৎপাতে চড়ুইরা যে বিপন্ন আমরা জানি। চড়ুই দিবস পালন করে চড়ুইদের কি উপকার হ'বে ঠিক জানি না। যেখানে থাকি, এখনো চড়ুইদের দেখা পাই। অবশ্য তার কিছুটা কারণ আমার শাশুড়ী এবং আমার মা দু'জনেই চড়ুইদের জন্যে খাবার রেখে দেন নির্দিষ্ট জায়গায়।
চড়ুইকে চড়ুই বলতেই ভালো লাগে আমার। ওই শব্দের ধ্বনির মধ্যে যেন তার ভ্রুৎ করে উড়ে যাওয়াটাও আছে। ভ্রুৎ করে। এটার কপিরাইট আমার আর আমার দাদার। দু'জনের মধ্যে কার মাথা থেকে বেরিয়েছিল মনে নেই, তাই কপিরাইট্টা দু'জনের। চড়ুইপাখি নিয়ে আমাদের অনেক মাথাব্যথা ছিল ছোটবেলা থেকে। ওদের উড়ে যাওয়ার সময়ে যে শব্দটা হয় তাকে 'ফুড়ুৎ' বললে যেন বড় ফিকে লাগে। তাই ভ্রুৎ। আমেরিকায় সবকিছু ইয়া বড় বড়, কিন্তু মশা আর চড়ুইপাখি যে এদেশের মত এক সাইz-এর সেটা প্রথম দেখে ভালো লেগেছিল, আর বাড়িতেও পাঠানো প্রথম চিঠি/ইমেলের মধ্যে লিখেছিলাম কাউকে না কাউকে। আজকাল এ তল্লাটে খুব একটা লিখতে ইচ্ছে করে না। বেশি কিছু বললেই একটু পরে বেজায় বোকা বোকা লাগতে আরম্ভ করে। বোঝাই যাচ্ছে স্মৃতিমেদুরতার জেরে বকবক করছি। যাক গে।না-ই বা বুঝুক বেবাক লোকে। চড়ুইরা যেন শুধু স্মৃতি হয়ে না যায়। ছোট্ট ছাগলছানার ছটফটানি, একটু বড় হয়ে যাওয়া বেড়ালছানার-- মানে না-বেড়াল-না-ছানা্র-- কীর্তিকলাপ আর চড়ুইপাখিদের কিচমিচ শোনা/দেখার অকারণ আনন্দ থেকে আমাদের পরের প্রজন্মরা যেন বঞ্চিত না হ'ন।
আমাদের ভাষায় চড়ুইপাখিদের নিয়ে গান একটামাত্রই শুনেছি। আরেকটা গানের কথা জানি, গানটা যদিও শুনিনি। দু'টো গানের রচয়িতা এক। গানের সূত্রেই চড়ুই দিবসের কথা জানলাম তাই আমার শোনা সেই ছোট্ট গানের কথাগুলো লিখে দিই।
চার লাইনের গান
হয়তো দেখেছো চার-পাঁচ ফোঁটা জলে
চার সেকেন্ডে চড়ুই পাখির স্নান
আমিও এখন সেই পাখিটার দলে
শুনিয়ে দিলাম চার লাইনের গান।
- কবীর সুমন
ছবিটা কয়েক মাস আগে বিকানের শহরের লালগড় প্যালেসে তোলা।
চার সেকেন্ডে চড়ুই পাখির স্নান
আমিও এখন সেই পাখিটার দলে
শুনিয়ে দিলাম চার লাইনের গান।
- কবীর সুমন
ছবিটা কয়েক মাস আগে বিকানের শহরের লালগড় প্যালেসে তোলা।
No comments:
Post a Comment